Wednesday, September 20, 2023

বৃষ্টি পতনের শব্দ

 ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে আদিগন্তসবুজ ধানের খেত জুড়ে

চলন্ত ট্রেন পেরিয়ে যাচ্ছে অচেনা নদীবিকেলের ফুটবল মাঠ

আর কু ঝিকঝিকজানালায় আনমনা তুমিহাত বাড়িয়েছ যেই 

দেশ কাল পেরিয়ে সর্বাঙ্গ ভিজিয়েছে তোমায়অজান্তেই

দুর থেকে এ দৃশ্য তুলে রেখেছি সযত্নেপাট না ভাঙা শাড়ির মত

হাত বাড়াতে পারিনি আমিবিশ্বাস না হয়জিজ্ঞেস করো 

চা বাগানের ঠায় ভিজে যাওয়া ওই রাস্তার খোলাম কুচিকে

জিজ্ঞেস করো আদিবাসী মেয়ের বিনুনি চুলে হলুদ ফুলকে

সাক্ষী আছে পাহাড়ি রডোড্রেনড্রন আর মেঘ পাইনের কুয়াশারা

সাক্ষী আছে ওম মনিপদ্মে হুম সার সার পতাকা আর অচেনা ঝোরা 

 

তোমার কানের লতি বেয়ে নেমেছে বৃষ্টির ফোঁটামুক্তোর মতন 

হাত দিয়ে আলগোছে চুল সরিয়েছ তুমিঅথচ ছুঁয়ে দিলেই সব শেষ

বহুদূর থেকে দেখি আমি তোমাকেট্রেন ছেড়ে চলে গেছে গন্তব্যে

বৃষ্টি পতনের শব্দ মিলে মিশে একাকার আজ কু ঝিকঝিকে । 

19 September 2023, Bellevue

সোহাগে আদরে

আজ উঠোন জুড়ে ঘন কালো মেঘ করে এলতোমার চুলের মত

বিশ্বাস করোখালি গায়ে নাচবো কিছুক্ষণ অবাধেলজ্জা শরমের 

বালাই থাকবে নামৃগনাভি কস্তূরীর মত খুঁজব হরিণের মায়াবী চোখে

থাকবে ধেবড়ে যাওয়া কাজলের টিপ, রঙ চটা মেদুরতা 

মেঘের আলতো ছোঁয়ায় গায়ে কাঁটা দেবেশিউরে উঠবো

বার বারযেমন শিউরে উঠি তোমার সোহাগে আদরে

 

উফফ অসহ্য গরম পরেছে আজগায়ে রাখা যাচ্ছে না সুতো - তোমার

নিজস্ব কৈফিয়ত শুনব না আজ  আমি তো জানি মেঘের সাথে

সখ্যতা তোমার কতখানি  না কি প্রেম লুকোচুরি খেলা অলক্ষ্যে 

মেঘেরা এলে ডেকো না আমায় আজসারা বিকেল অপেক্ষায় আমি 

বৃষ্টি হয়ে নেমে এসো ঠোঁট থেকেহাতের আঙুলে 

খড়কুটো হোক বা বনপলাশসর্বাঙ্গ জড়িয়েছ তুমি মেঘের চাদরে

19 September 2023, Bellevue

তুষারপাত

 কবিতার কবেকার সীমাহীন মুহূর্ত 

ছুঁয়ে যায় দেশকাল

জেগে উঠে চিঠি লিখি আলতো নীল পাতায়
ঝম ঝম বৃষ্টি নামে পাহাড়ের গা ছুঁয়ে
বরফের সাদা মিশে যায় কুয়াশায়
ঘুম ভেঙ্গে জেগে ওঠে অপেক্ষার দিন রাত ...

এখানে বৃষ্টি নামে বারো মাস
এখানে ভালবাসা রডড্রেনড্রন গুচ্ছ
এখানে কান পাতলেই তুষারপাত
এখানে ভ্যালেনটাইনডেরা তুচ্ছ ।

সম্পৃক্ত


ব্যালকনি থেকে বানজারা হিলস, আর লোপামুদ্রার কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত
… পথের শেষ কোথায় … ল্যান্ডস্কেপ নিঃসঙ্গতা জড়িয়ে আছে আমায়
ওদিকে তখন সুজয়দার কোচিং ক্লাস, একটা অছিলা খোঁজার চেষ্টায় মরিয়া
বাইরে অঝোরে বৃষ্টি, সেই যদি এলি … আমার অসময়ের পাতা জুড়ে
আমি তখন দিগ্বিদিক একটা তীব্র আকর্ষণে ছুটে চলেছি এ গ্রহ থেকে ও গ্রহ
এই মহাকাশ আর ওই মহাকাশ লক্ষ্যহীন তারার মত, সেই থেকে
সুজয়দা নভেল ছেড়ে চলে গেল একদিন, যেমন যায় তোর সুজয়দারা
ঘরে ফিরে চোখ মুছে আবার চিঠি লিখতে বসা, পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা
উড়ে যায় কোথাও … কে জানে সে চিঠি পৌঁছয় কি না কার উদ্দেশে
কবি জীবন চেয়ে থাকে সায়ংকাল, তোমার অবসরের জীবন যাপনে
অথচ তুই যে বর্ষা ঋতু , ক্ষণিকে ভিজিয়ে, মিলিয়ে যাস বার বার
তুই তো জানিস না, কাঙাল আমি , এই তো দ্যাখ , সমস্ত হাত পেতে
বসে আছি আমি, সেই অবেলায়, ফিরিয়ে দে তুই, ফিরিয়ে দাও, আমার
সব রৌদ্রস্নান, আমার সব শৈত্যজীবন, তোর আঙুলের ছোঁয়া, সম্পৃক্ত হই