স্বপ্ন হয়ে এলি সেদিন ঘুমের ঘোরে
সেই আগের মতই, কপালে আলতো
কয়েকটা ছোট চুল
নাকের ওপর হালকা একটু ঘাম,
চোখে বড়ই ব্যস্ততা
আমি তখন সাঁকোর রেলিঙের ধারে দাঁড়িয়ে
একটা গভীর সূর্যাস্তের জন্য অপেক্ষা করছি
ব্যস্ত ভাবেই হাত রাখলি কাঁধের ওপর
“আচ্ছা আপনি বুঝি আর লেখেন না?”
চমকে পিছন ফিরে তাকাতেই
তোর কপালের মস্ত লাল টিপে চোখ আটকালো
যেন একটা প্রতিবিম্ব - সূর্যাস্তেরই হবে
একটা খেয়া পারাপার করছিল সাঁঝবিকেলে
দূর থেকে ভেসে আসছিল আপনমনে গুনগুন
আমি ভাবলাম পাখি হবে হয়ত, ঘরে ফেরার পালা
তুই বললি চলুন, দেরি হয়ে যাচ্ছে, সর্বনাশের খেলা
যেন সূর্যাস্ত নয়, এক গভীর ডুবে যাওয়ার আগে
তীব্রভাবে আঁকড়ে ধরা, রক্তিম আলো মাখামাখি
সর্বাঙ্গে
অথচ বেশ তো ভালই চলছিল, তীরের এপার
আর ওপার
ভয়ে ভয়ে চোখ রাখা, ডুবে যাওয়া, ভেসে ওঠা
যেন এক অস্থির শুশুক, আর অপার বিস্ময়
হেঁটে যাওয়া অনন্তকাল, সাঁকোর ওপর, ট্রাপিজের খেলা
সমাজ সংসার মিলে মিশে একাকার, আত্মকথন
কেউ কোথাও নেই, মানুষজন, গাছপাথর আর উল্কা বৃষ্টি
স্বপ্ন হয়ে এলি সেদিন ঘুমের ঘরে, শেষ দেখা হল না
স্বপ্নই থেকে গেলি
0 comments:
Post a Comment